সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। কয়েকটি ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ছিল সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুইজন। 

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে ১২ জন ও স্বতন্ত্র ৪ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।  

সাতকানিয়ার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন ; চরতি ইউনিয়নে মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (নৌকা), আমিলাইশে মোজাম্মেল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নলুয়ায় মো. লেয়াকত আলী (নৌকা), কালিয়াইশে হাফেজ আহমদ (নৌকা), ঢেমশায় মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমন (স্বতন্ত্র), ধর্মপুরে নাছির উদ্দিন টিপু (নৌকা), বাজালিয়ায় তাপস কান্তি দত্ত (নৌকা), পশ্চিম ঢেমশায় রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন (স্বতন্ত্র ), ছদাহায় মোরশেদুর রহমান (স্বতন্ত্র), সোনাকানিয়ায় জসিম উদ্দিন (নৌকা)। খাগরিয়া ইউপিতে নৌকা প্রতীকের মো. আকতার হোসেন, কাঞ্চনায় নৌকা প্রতীকের রমজান আলী জয়ী হয়েছেন।  

এছাড়া চারজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা হলেন; কেওঁচিয়া ইউনিয়নে ওচমান আলী (নৌকা), পুরানগড়ে আ.ফ.ম. মাহবুবুল হক সিকদার (নৌকা) মাদার্শায় আবু নঈম মোহাম্মদ সেলিম (নৌকা) ও  সাতকানিয়া সদরে মোহাম্মদ সেলিম (নৌকা)।

এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব মণ্ডল। 

নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে পুরানগড়, কেঁওচিয়া, সাতকানিয়া সদর ও মাদার্শা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  

কেএম/এসকেডি