‘বয়স যদি আঠারো হয়, ভোটার হতে দেরি নয়’ প্রতিপাদ্যটিকে সামনে রেখে এবার ভোটার দিবস পালন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির সহকরী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন (নির্বাচন সহায়তা-২) স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে ভোটার দিবসের কথা জানায় সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

পরিপত্রে ইসি বলেছে, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, চলতি বছরের ২ মার্চ তৃতীয়বারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে যাবতীয় প্রচারণা সামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে পরিপত্রে।

এর আগে, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো এ দিবসটি উদযাপনে নির্বাচন ভবনসহ সারাদেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালন করবে ইসি।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ভারতে ২৫ জানুয়ারি, পাকিস্তানে ৭ ডিসেম্বর, শ্রীলঙ্কায় ১ জুন, ভুটান ১৫ সেপ্টেম্বর, নেপাল ১৯ ফেব্রুয়ারি ও আফগানিস্তানে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটার দিবস পালিত হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হলেও গতবার ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়েছে। এবারের নতুন তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮ জন। খসড়া ভোটার তালিকায় নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে ঘোষণা ও উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ওই বছরের ৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১ মার্চকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১ মার্চকে জাতীয় বিমা দিবস পালনের অনুমোদন দেওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোটার দিবস ১ মার্চের পরিবর্তে ২ মার্চ করা হয়েছে। যার ফলে একদিন পিছিয়ে ২ মার্চ ভোটার দিবস পালিত হচ্ছে।

এসআর/এমএইচএস