করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীতে শুরু হয়েছে দোকান মালিক-কর্মচারীদের করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রেড ক্রিসেন্ট থে‌কে পাঠা‌নো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

সংস্থা‌টি জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় গোটা রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে চলবে এই টিকা কার্যক্রম।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কার্যক্রমের প্রথম দিনে উত্তরা জোনের সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়। আঠারো বছরের বেশি বয়সী টিকাগ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দেওয়া হয় টিকা। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

সরকারের পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে ইপিআই’র পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনতে কাজ চলছে। আর টিকা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

সোসাইটির কোভিড-১৯ কার্যক্রমের অপারেশন ইনচার্জ রেজওয়ান নবীন জানান, রাজধানীতে আরও ৯টি ধাপে চলবে টিকা প্রদান কর্মসূচি। পুরো ঢাকার ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সোসাইটির।

এনআই/এমএইচএস