করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতনরা টিকা নেবেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার টিকা নেবেন। ডিএমপি মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে কমিশনারের সঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ (ডিআইজি) পুলিশের ঊর্ধ্বতনরাও উপস্থিত থেকে টিকা নেবেন।

রোববার সারাদেশে জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে। আর এজন্য রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

শনিবার ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে, সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি। তবে আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে কালকের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

‘সুরক্ষা’য় নিবন্ধন প্রায় চার লাখ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নিতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধনের এ সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪৬ হাজার ২৬৭ জন। একদিনের ব্যবধানে সে সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ। 

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সুরক্ষা ওয়েবসাইটে দ্রুতই নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়ছে। ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। প্রথম দফায় দেশে যে ৫৬৭ জন টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন। সুতরাং টিকা নিয়ে অপপ্রচারে কান না দিয়ে, সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এআর/জেডএস