টিকা নিতে ‘সুরক্ষা’য় নিবন্ধন প্রায় চার লাখ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নিতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধনের এ সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪৬ হাজার ২৬৭ জন। একদিনের ব্যবধানে সে সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সুরক্ষা ওয়েবসাইটে দ্রুতই নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়ছে। ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। প্রথম দফায় দেশে যে ৫৬৭ জন টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন। সুতরাং টিকা নিয়ে অপপ্রচারে কান না দিয়ে, সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনেক সাংবাদিক নিবন্ধন করতে পারছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, যেসব সাংবাদিক আমাদের কাছে তালিকা দিয়েছেন তারা নিবন্ধন করতে পারছেন। পর্যায়ক্রমে সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন। আমরা সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়ে নাম ও এনআইডি নম্বরের তালিকা চেয়েছি। অনেকেই দিয়েছেন, কেউ কেউ এখনও দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
যারা এসএমএস পাননি, রাতেই পাবেন
প্রথম দিনের টিকা নেওয়ার বিষয়ে যারা এখনও কোনো বার্তা বা এসএমএস পাননি, রাতেই তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, শুরুর দিনে সারাদেশে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। এজন্য ২ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর ৫০টি স্থানে টিকাদান হবে। এছাড়া সারাদেশের ৯৫৯টি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের টিকা কবে নাগাদ শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপ কবে শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এখানে প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপ নেই, এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সাবরিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএসের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
টিআই/জেডএস