‘পানি সরবরাহ নিশ্চিতে পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হচ্ছে’
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হচ্ছে, এরই একটি গন্ধবপুর পানি শোধনাগার। এটি ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গন্ধবপুরে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভূ-গর্ভস্থ পানির চাপ কমবে উল্লেখ করে তাকসিম এ খান বলেন, আমাদের সায়েদাবাদ ফেইজ-৩ এবং গন্ধবপুর প্রকল্পের কাজ শেষ হলে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহ লাইন নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এই দুই প্রকল্পের মধ্যে গন্ধবপুর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সেই সঙ্গে সায়েদাবাদ ফেইজ-৩ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের মধ্যে। তাই আশা করা যায় ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা ভূ-গর্ভস্থ পানি সরবরাহ কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াবে।
বিজ্ঞাপন
গন্ধবপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শনে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সারাদেশে টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় যে পানির সমস্যা ছিল তা এখন সমাধান হয়েছে। দেশে পানির কোনো সমস্যা থাকবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, পানির স্তর নিচে নামার কারণে সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশও সার্ফেস ওয়াটারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গন্ধবপুর পানি শোধানাগার থেকে রাজধানীতে পানি নিতে প্রকল্প এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কাজ একইসঙ্গে চলছে। কাজ শেষ হলেই পানি সরবরাহ শুরু হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস