দেশজুড়ে টিকাদান শুরু
সারাদেশের ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ (রোববার) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় তিনি বলেন, আজ সারাদেশে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সারাদেশের ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজকে আমিসহ আরও অনেকেই টিকা নেব। করোনার শুরুতে মাত্র একটি ল্যাব ছিল বাংলাদেশে। সেখানে ২০০টি ল্যাব এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায়নি। ৩৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল, আমরা ৯০টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এনেছি। অনেকে বলেছিলেন ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু এখন সব ভেন্টিলেটর খালি পড়ে রয়েছে। দরকার ছিল সেন্ট্রাল হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা। আমরা যখন এটি জানলাম তখন লকডাউন থাকা অবস্থায় নিয়ে এসেছি কয়েক হাজার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। ফলে আমাদের মৃত্যুহার কম রাখতে সক্ষম হয়েছি।
বিজ্ঞাপন
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ লোক মারা গেছে, তার তুলনায় ভারতে, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক লোক মারা গেছে। তারা উন্নত দেশ, আল্লাহর রহমতে আমরা ভালো আছি।
আমাদের এখন ৩ শতাংশ সংক্রমণের হার। আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে এসেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্স অনুযায়ী আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে এসেছি। আমাদের এখন ৩ শতাংশ সংক্রমণের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্সে বলে ৩ শতাংশের নিচে যখন আসতে থাকে তখন করোনা আস্তে আস্তে দেশ থেকে ফেইজ আউট হয়ে যায়। কাজেই সেই পর্যায়ে চলে আসছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুইবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে চিঠি পাঠিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশব্যাপী করোনা টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকার ৫০টি হাসপাতালে ৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট ২০৪টি দল ঢাকার টিকাদান পরিচালনা করবে। এছাড়া, বিভিন্ন জেলার ৯৫৫টি হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে মোট দুই হাজার ১৯৬টি দল কাজ করছে।
দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের মাঠে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাররাও টিকা নেন এ সময়।
টিআই/এনএফ