খান বাহাদুর গ্রুপের এমডি গ্রেফতার, পরে সমঝোতা
চেক জালিয়াতির মামলায় খান বাহাদুর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে গ্রফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তবে তাকে আদালতে পাঠানো হবে না।
বৃহস্পতিবার বনানীর অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার মঈনুদ্দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে এবং আমানত মেরিন ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিজ্ঞাপন
এ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার নানান অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সঙ্গে লেনেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে চেক জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি মামলা করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেড় কোটি টাকা পাওনার বিষয়ে বিডি ফাইন্যান্স তার বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে মামলা দেয় (দ্য নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট-১৮৮১)। সেই মামলায় তাকে তেজগাঁও অফিস থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, তবে থানার আনার পর বিডি ফাইন্যান্সের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় মঈনুদ্দিন আহমেদ টাকা পরিশোধ করেছেন। বিডি ফাইন্যান্স রোববার মামলাটি তুলে নেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। তাই তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে না। তেজগাঁও থানা সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে তাকে।
এ বিষয়ে বিডি ফাইন্যান্সের আইন বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৮ লাখ টাকার চেকের মামলা করা হয়। আজ কিছু পেমেন্ট করেছেন। বাকি টাকা আগামী ২০ ফেব্রুযারি পরিশোধ করবেন।
মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অসুস্থ, তাই মানবিকতার খাতিরে তার সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি। পুরো টাকা পেমেন্ট হলে আমরা মামলা তুলে নেব। তবে তার কাছে বিডি ফাইন্যান্সের আরও অনেক টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানান বিডি ফাইন্যান্সের আইনি প্রধান ।
এসআই/আরএইচ