মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আব্দুল্লাহিল মারুফ জানান, সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো পুনর্গঠনে জাপানের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে এ দেশের মানুষ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে জাপান স্বীকৃতি দেয়- উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে দূতাবাসও প্রতিষ্ঠা করে তারা। আমাদের অধিকাংশ বড় বড় প্রকল্পে জাপানের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শক্ত ভেতের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পাবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাপান রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাপানি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এএইচআর/এসএম