খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর রূপ। বদলে যাওয়া পৃথিবীতে ‘সময়’কে সেতু মানছে মানুষ। সময়ে ভর করেই স্বপ্নের ফানুস ওড়াচ্ছে অসীম দিগন্তে। আমরাও সেই সময়ের গল্প বুনতে এসেছি আপনার দুয়ারে।

সভ্যতার অগ্রযাত্রা আর যোগাযোগ তথা গণমাধ্যমের সহাবস্থান সেই উষালগ্ন থেকেই। মানবজাতির ‘চ্যালেঞ্জ’ গণমাধ্যমকে ঠিক সঙ্গে নিয়েই। যেমন: মঙ্গল গ্রহের মাটির রং কী, অথবা সাইবেরিয়ার বরফ দেশের সঙ্গে পেঙ্গুইনের বন্ধুত্ব কী, তার প্রকাশও মিলছে গণমাধ্যমে। গণমাধ্যমের সুবাদেই মার্কিন নির্বাচনের টানটান খবর যেমন হাতের মুঠোয় চলে আসে, তেমনি ইসরায়েলের সাঁজোয়া যানের সামনে দাঁড়িয়ে প্যালেস্টাইনের ছোট্ট শিশুটির ঢিল ছোড়ার দৃশ্যও চোখে জল আনে।

মূলধারার যোগাযোগব্যবস্থার সঙ্গে আজ অন্যতম সারথি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও। বুদ্ধিমত্তা আর প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকেও আপন ঘর মানছে মানুষ। এসব কিছুতেই শিকড় গেড়েছে ‘অনলাইন সাংবাদিকতা’। আমাদের প্ল্যাটফর্মও যুগের অন্যতম সংযোজন অনলাইন সাংবাদিকতায়।

সমাজ, জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ গণমাধ্যম। জীবনের কোনো ধাপেই এটিকে আজ অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর এই অতিমারির সময়ে তা যেন আরেকবার প্রমাণিত হলো। মহামারির এমন দিনে সমস্ত দ্বার যখন সংকুচিত হয়ে আসছিল, ঠিক তখন গণমাধ্যমই ছিল মানুষের সকল জিজ্ঞাসার অন্যতম আশ্রয়স্থল। বেঁচে থাকার হাজারো আকুতি আর প্রশ্নের দুয়ার উন্মোচিত করে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আরও মজবুত হলো যেন। মূলধারার যোগাযোগব্যবস্থার সঙ্গে আজ অন্যতম সারথি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও। বুদ্ধিমত্তা আর প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকেও আপন ঘর মানছে মানুষ। এসব কিছুতেই শিকড় গেড়েছে ‘অনলাইন সাংবাদিকতা’। আমাদের প্ল্যাটফর্মও যুগের অন্যতম সংযোজন অনলাইন সাংবাদিকতায়।

সময়ের আবর্তে গণমাধ্যমের ধরন, ব্যাপকতা আর ভাবনায় বিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত। মূলত, মানবজীবন আর যান্ত্রিক জীবন মিলেমিশে একাকার বলেই গণমাধ্যমের এই বিবর্তন আবশ্যক হয়ে উঠছে। কাগুজে খবরের চেয়ে হাতে থাকা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনেই খবর পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে মানুষ। ব্যস্ততা আর সময়ের স্বল্পতার কারণে অনলাইন সংবাদে নিবিষ্ট হচ্ছে মন, এটিই যুগের বাস্তবতা।

আঙুলের ঘষাতেই উল্টে যাচ্ছে সংবাদের পাতার পর পাতা। মুহূর্তেই ফুটে উঠছে খবরের বাতায়ন। ক্ষিপ্রতা তথা তাৎক্ষণিক সংবাদের অন্যতম অনুষঙ্গ বলেই অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দিনকে দিন। আর আমরা তাৎক্ষণিকতাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সাজিয়েছি খবরের দেয়াল।

দায়বদ্ধতার প্রশ্নে গণমাধ্যম যেমন অধিক সচেতন এবং দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে এখন, তেমনি অসত্য ও বানোয়াট তথ্যের পরিবেশন নাগরিক জীবনকে বিভ্রান্তও করছে সমানতালে। আস্থার এমন প্রশ্নে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে বৈকি। বিভ্রান্তির জালে আটকা নয়, সবার আগে সত্যকে জানানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে প্রতিজ্ঞায় শামিল হয়েছেন একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী, যারা শিক্ষার সঙ্গে পেশার বন্ধন গড়ে ইতোমধ্যে সাংবাদিক মহলে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন।

বিভ্রান্তির জালে আটকা নয়, সবার আগে সত্যকে জানানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে প্রতিজ্ঞায় শামিল হয়েছেন একঝাঁক তরুণ সংবাদকর্মী, যারা শিক্ষার সঙ্গে পেশার বন্ধন গড়ে ইতোমধ্যে সাংবাদিক মহলে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন।

মূলধারার খবর পরিবেশনের পাশাপাশি বিনোদন, সংস্কৃতি, খেলার সংবাদেও বিশেষ গুরুত্ব থাকছে ঢাকা পোস্টে। সমাজ, জীবনধারার মতো বিষয়ে ব্যতিক্রম আয়োজন রেখে আমরাও প্রাণে প্রাণ সঙ্গী হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দেশ-সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে স্বমহিমায়। এগিয়ে যাওয়ার পথে গণমাধ্যম শুধুই সাক্ষী, এই ধারা ভেঙে গেছে বহু আগেই। সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে গণমাধ্যমও সমাজ বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। মৌলিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক উন্নয়নেরও গুরুত্ব বাড়ছে। বাড়ছে উন্নয়ন সাংবাদিকতার পরিধিও। আমরা শুধু নেতিবাচক সংবাদে বিশ্বাসী নই, ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনেও থাকবে বাড়তি মূল্যায়ন, যাতে সমাজ, মানুষের অর্জনের নির্মোহ স্বীকৃতি মেলে।

প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব সংবাদের প্রতি আবেদন বাড়ছে উত্তরোত্তর। কাঁটাতার বা পতাকার সীমানা ভেঙে মানুষ মিলছে মানুষে। সংকীর্ণতার থাবা সর্বত্রই। তবুও ধর্মবোধ, জাতীয়তাবাদ বা নিজস্ব সংস্কৃতির গণ্ডি পেরিয়ে মানবপ্রেমের সীমানা প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের ঠিকানাও এই প্রসারিত সীমানায়। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদসমূহ পরিবেশন করতে আমরা অধিক সচেষ্ট থাকতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

যে বাংলা ভাষায় আমরা কথা বলছি, সেই ভাষা অর্জিত হয়েছে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। মাতৃভাষা আন্দোলনের সেইসব শহীদের আমরা সবসময় স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, ভাষা-সংস্কৃতির জয়গান গেয়েই আমাদের পথচলা। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে অবিচল থেকেই চর্চিত হবে আমাদের সাংবাদিকতা। পাঠকহৃদয়ে আশ্রয় নিতে চাই, বাঙালিয়ানার স্বকীয়তা আঁকড়ে ধরেই। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা পোস্ট’ দ্রুততম সময়ে পাঠকপ্রিয়তা পাবে। সমস্ত সত্য ও সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে ‘ঢাকা পোস্ট’ থাকবে আপনার পাশে। এই নবযাত্রায় আপনাকেও চাইছি আমাদের পাশে।

মহিউদ্দিন সরকার ।। সম্পাদক, ঢাকা পোস্ট