ইদানীং দেশের এক শ্রেণির মানুষ খুব উৎফুল্ল। গর্ব করে কিছু খবর ও গল্প মানুষের মধ্যে প্রচার করছে। খবরগুলো যদি আসলেই সত্যি হয়, তাহলে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কথা। যদি দেশের প্রতি তাদের ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে। তারা গর্ব করে প্রচার করছেন, আজ অমুক প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত, কাল অমুক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘোষণা আসছে ইত্যাদি ইত্যাদি…

যার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন এর সবই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। যারা দেশ চালায়। এই অপপ্রচারকারীরা বুঝতে পারছে না তারা যদি কোনোদিন ক্ষমতায় আসে তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়েই দেশ চালাতে হবে। মঙ্গলগ্রহ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান তারা ধার করে আনতে পারবেন না। সুতরাং দেশের ইমেজ নষ্ট করা তাদের উচিত না। এই গোষ্ঠী কারা সেটা কি চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে?

বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই অপপ্রচারের “আনুষ্ঠানিক” যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকাতে একটি নিবন্ধ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এর আগে গোপনে তারা লবিস্ট নিযুক্ত করে করেছে। নিবন্ধটি লিখেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। যে নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পোশাকখাতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা, বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, বিশ্বব্যাংক পদ্মা ব্রিজের অর্থায়ন বাতিল করে সঠিক কাজ করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সরকার অন্যায় করেছে ইত্যাদি…

চিন্তা করেন, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই কথা লিখেছেন দেশের বিরুদ্ধে। তখনই উচিত ছিল ওনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেওয়া।

আর সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই স্বীকার করেছেন ২০১৫ সাল থেকে তারা দেশে বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপের লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। এই কথা বলে দেশেই বহাল তবিয়তে আছেন। একটা বিষয় বুঝতে পারছি না, তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কেন করছেন?

দেশটার প্রতি তাদের ক্ষোভ আছে এটা আমরা জানি সেই ১৯৭১ সাল থেকে। তাদের এই ক্ষোভ শেষ হতে আর কত বছর লাগবে জানি না। আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করলে বুঝতাম এটা রাজনৈতিক উদ্দেশে করা।

নাকি কোনটা দেশবিরোধী আর কোনটা সরকারবিরোধী এই পার্থক্যই তারা বুঝেন না?

আশরাফুল আলম খোকন ।। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব