জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়টি অযাচিত, অপ্রাসঙ্গিকভাবে জাতির সামনে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

তিনি বলেছেন, এতে জাতি বিব্রত হয়েছে। তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কিছু নেই। এটি ঐতিহাসিক দালিলিক সত্য। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদান হিসেবে সর্বমোট ৬৮ জনকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে জিয়াউর রহমান বাদে সবাই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। একমাত্র তিনিই বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থেকে যুদ্ধ করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি ‘বীর উত্তম’ খেতাবও পেয়েছেন তার ‘জেড’ ফোর্সের যোদ্ধারা। তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম, স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেবে। কারণ, জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবের নেতৃত্বকে মেনে সবাইকে যুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

‘স্বাধীনতার ঘোষণাও জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবের পক্ষে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটি তিনি (জিয়াউর রহমান) নিজেই দিতে পারতেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সবার কাছে শেখ মুজিবকে তুলে এনেছিলেন। এর জন্য আওয়ামী লীগের উচিৎ ছিল তাকে ধন্যবাদ জানানো।’

আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ তো বহু কিছু হজম করে ফেলেছে। এ প্রতিবেদন কেন হজম করতে পারছে না? এঘটনা তো আওয়ামী লীগের লক্ষ অপকর্মের একটি মাত্র। আপনারা পারলে আল জাজিরার প্রতিবেদনটি যে মিথ্যা, সেটি প্রমাণ করুন। আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশে বন্ধ থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে তো আল জাজিরার সম্প্রচার চলমান থাকবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন মনি, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ডা. মাসুদ হোসেন প্রমুখ।

এইচএন/এসএসএইচ