ফাইল ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, প্রথম সেক্টর ও জেড ফোর্সের কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহারের সরকারের হঠকারী ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলা সদরে প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরো বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর তা বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে জামুকা।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘ইভিএমের বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন এই মেশিন দূর থেকে হ্যাক করা যায়। ভোটের ফলাফল ম্যানিপুলেট করা যায়। এ কথার সত্যতা এখন আওয়ামী নেতারা নিজেরাই অকপটে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী ৩নং ওয়ার্ডের চর সেকেন্দার সফি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় নোয়াখালির আঞ্চলিক ভাষায় বলেছেন- নৌকার বাইরে ভোট দিলে ইভিএমে ধরি ফেলা যায়।’

ইভিএমকে ধাপ্পাবাজির মেশিন বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘তা এখন আওয়ামী লীগ নিজেরাই জানান দিচ্ছে। ২০১৮ সালে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার অনুরোধ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন- রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই কথা রাখেননি। তিনি কথা রেখেছেন শেখ হাসিনার। ইভিএমে ভোট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে দেদারসে। দিনের ভোট রাতে করেছেন।’

এএইচআর/ওএফ