কোনো সরকারই স্থায়ী নয় : দুদু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কোনো সরকারই শেষ সরকার নয়। যে নেতাকে সবসময় অনুসরণ করা উচিত, যার পরিচয় দিতে গেলে একটুও মিথ্যা বলতে হবে না, যাকে অনুসরণ করে জীবন সুন্দর করা যায়, আপনি তাকেই ছোট করছেন। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও অন্যের পদবীগুলো কেড়ে নেবে।
তিনি বলেন, আমি যখন আপনাকে পদত্যাগের কথা বলি, এর চেয়ে আর সত্যি কথা নেই। আল্লাহ কাউকে অমর করেন নাই। ব্যক্তি তার কিছু কর্মের মধ্য দিয়েই ইতিহাসে বেঁচে থাকে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বীর উত্তম বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের বিষয়ে সরকার বা জামুকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদও জানান দুদু। জাতীয়তাবাদী জিয়া প্রজন্ম দল সভাটির আয়োজন করে।
বিএনপিকে ২০০৬ বা ২০০৭ সালে একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেন, সামনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এটা মাথায় রাখেন। বিএনপিকে ব্যর্থ মনে করার কিছু নেই। একবার যদি ভোট হয়, আপনাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।
বিজ্ঞাপন
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাঙালি জাতির নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান সবাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের ভূমিকা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে। পূর্ব-পুরুষদের সফলতা ব্যর্থতা নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। তাদের প্রত্যেককে আমরা বিভিন্নভাবে দেখতে পারি। কিন্তু তাদের যে অর্জন তা আমরা কেড়ে নেব, ফেলে দেব, পদদলিত করব। বাঙালি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কেউই তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এভাবে অপমান করতে পারে বলে আমার জানা নেই।
প্রশ্ন তুলে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ কোন বাংলাদেশে? যারা বাংলাদেশ নির্মাণ করেছে, সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে অপমানিত করে ছাড়ছে। লজ্জার তো একটা সীমা থাকে, এ কোন বাংলাদেশে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি? শহীদ জিয়াউর রহমানকে শুধু যোদ্ধা বললে ভুল হবে, তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বীর।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে করে দুদু বলেন, আপনি মনে হয় না বয়সে আমার থেকে খুব বেশি বড় হবেন। আপনি আওয়ামী লীগ করেন, আমি বিএনপি করি। আপনার ব্যর্থতাগুলো আমি তুলে ধরি। আমাকে জেলে দেন, মারেন, কাটেন যাই করেন সত্যটা তো বলতেই হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, গোলাম সারোয়ার সরকার, মোক্তার আকন্দ প্রমুখ।
এইচএন/এমএইচএস