র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় সরকার ভারতের কাছে ধরনা দিচ্ছে, যা দেশের জন্য চরম অবমাননাকর বলে মনে করছে গণসংহতি আন্দোলন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর গুম-খুন এখন আর চাপা দেওয়ার বিষয় নয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকে দেশে-বিদেশে অনেকভাবে হাজির করা হয়েছে। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো গুম, খুন বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি, উল্টো যথাযথ তদন্ত না করে ‘বন্দুকযুদ্ধ’,' ক্রসফায়ার'কে চালিয়ে যেতে দিয়ে এক অর্থে বৈধতা দিয়েছে। 

এখন যখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে তখন সরকারের জ্ঞান বিলোপ পেয়েছে। তারা ভারতের হাতে পায়ে ধরছে। মূলত এ সরকার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে অপশাসন, নির্মমতাসহ যেকোনো কর্মকাণ্ডকে জায়েজ করতে চায়। একদিকে অভিযুক্ত বাহিনীকে ‘যা খুশি তা করার’ ইনডেমনিটি দিয়ে রেখেছে, যা একটা গণতান্ত্রিক দেশে কার্যত আইনের শাসনের বিরোধী। অন্যদিকে দেশের প্রতি ন্যূনতম মর্যাদাবোধ না রেখে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে অন্য দেশের অধীনস্থ হয়ে সার্বভৌমত্বকেই হুমকিতে ফেলেছে।

আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনাটাই হচ্ছে এ সমস্যার প্রকৃত সমাধান।

এএইচআর/এসকেডি