ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বলে দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

শুক্রবার জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক যৌথ বিবৃতিতে ভোজ্য তেলের দাম এক লাফে লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন সমন্বয়ক ও ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার এবং জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোন তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হয়। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই ভোক্তা স্বার্থ না দেখে বাণিজ্য সচিব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

নেতারা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তখন দাম কমায় না।

বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদের সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার ও সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানান নেতারা।

নেতারা বলেন, এমনিতেই ২ বছর ধরে করোনা মহামারির কালে দেশবাসী চাকরি হারিয়ে, আয় কমে গিয়ে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে। সে সময়ে ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয়র মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জীবন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। 

এমতাবস্থায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও জনগণের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় রাখার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান নেতারা।

এছাড়া চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, লবণসহ নিত্যপণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করে সরকারি উদ্যোগে আমদানি ও বিতরণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান নেতারা। 
 
এইউএ/আইএসএইচ