‘ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবিলা করা হবে’
যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবিলা করে পরাজিত করার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভাঙচুরকারীদের ক্ষমা চাইতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমভুক্ত (এনএআরএস) ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের আমাদের পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
মন্ত্রী বলেন- রাজাকার, আলবদর, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে আমরা বাংলার মাটিতে পরাজিত করেছি; সেই পাকিস্তানিদের দোসররা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বাংলার মাটিতে কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করব, বাংলার মাটি থেকে তাদের মূলোৎপাটন করব। এই বাংলার মাটিতে তাদের কোনো ঠাঁই নেই; থাকতে পারে না। স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশদ্রোহী হিসেবে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবে। যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে বিচার হয়েছে তেমনিভাবে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর পরিকল্পিতভাবেই আঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, এ স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি দেশীয়-আন্তর্জাতিক ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিলেন।
ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও চেতনাকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। এই পরাজিত ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের পর থেকে ২১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে।
ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভাস্কর্যের একটা নান্দনিক দিক রয়েছে, এটি একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে করে তার আদর্শ ও চেতনাকে এ দেশের ভবিষ্যত বা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়, জাগরূক রাখা যায়। ভাস্কর্য হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হব। তারা মানবপ্রেমে ও মানবসেবায় ব্রতী হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষিসচিব মেসবাহুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ সংস্থাপ্রধান ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসএইচআর/ওএফ