অতীতের মতো এবারের বাজেটও দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাটের দলিল ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে প্রতি বছর সরকার যে বাজেট দেয়, তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চলতি নীতিমালারই প্রতিফলন ঘটে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ক্ষমতাসীন সব রাজনৈতিক দল তথা শাসক শ্রেণি পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই বাজেট প্রণয়ন করেছে। ফলে দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাট-দুর্নীতি ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ত্বরান্বিত হয়, যা বর্তমানে চরম রূপ নিয়েছে।

নেতারা আরও বলেন, প্রতি বছর সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট উপস্থাপন করে। সরকারের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ সালের বাজেটও তার থেকে আলাদা কিছুই নয়। এ বাজেটে সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত। বরাবরের মতোই বাজেট বৈষম্যমূলক দলিল হিসেবেই সামনে এসেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া লুটেরা গোষ্ঠী দিয়ে এ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়।

পাচার করা অর্থ প্রস্তাবিত বাজেটে ফেরত আনার সুযোগ দেওয়াকে অনৈতিক ও পাচারকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার শামিল বলে মন্তব্য করেন ন্যাপের নেতারা। তারা আরও বলেন, এটি দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গর্হিত অপরাধের জন্য শাস্তির বদলে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করার সব উদ্যোগকে অর্থ পাচারকারী তথা দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার শামিল বলেও দাবি করেন ন্যাপের শীর্ষ নেতারা।
 
এএইচআর/আরএইচ