সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ চোখের পানি ফেললেও সরকার তাদের পাশে নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, বানভাসিরা চোখের পানি ফেলছে আর সরকার আছে নাচ-গান নিয়ে।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা জেলা এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আমান। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা বাড়াতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

আমানউল্লাহ আমান বলেন, যখন বন্যা দেখা দিল, তখনই বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে দলের সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। বিশেষ করে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার, চাল-ডালসহ বন্যাদুর্গত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যেটা সারাদেশ দেখেছে, জাতি দেখেছে।

তিনি বলেন, একদিকে বানভাসিরা চোখের পানি ফেলছে, না খেয়ে হাহাকার করছে, আরেকদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে গান-বাজনা-নৃত্য চলছে সারাদেশে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আলোকসজ্জার নামে সারাদেশে কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎও খরচ করা হচ্ছে।

দুর্গত জেলার জন্য কয়েক টন গম এবং সামান্য কিছু চাল দিয়েছে সরকার উল্লেখ করে আমানউল্লাহ বলেন, বিএনপি যেহেতু জনগণের দল, বিএনপি যেহেতু যেকোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সেহেতু আমরা বসে থাকতে পারিনি। ৮৮-র বন্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পানিতে ভিজে বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন। এবার আমাদের চেয়ারপারসনের পরামর্শে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে আমরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি। 

আমান বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানেই মানুষ আমাদের বলছে, তারা সরকারি কোনো ত্রাণ সাহায্য পাচ্ছে না। আমরাও দেখেছি, বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারের যে দায়িত্ব ছিল তারা সে দায়িত্ব পালন করছে না। দায়িত্ব পালন করতে ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা আছে নিজেদের আনন্দ-উল্লাস, নাচ-গান নিয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ। 

এএইচআর/এসকেডি