কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে বিএনপিকে চা খাওয়াব— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ওনার কার্যালয়ে গেলে চা খাওয়াবেন। তার আগে বলে দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এনে দিচ্ছি। সেটা বলে দিন, তারপর চা-টা খাওয়া যাবে, অসুবিধা নেই। সবার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিন।’

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা : দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন ম আখতার হোসেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অতি হালকা কথা বলে লাভ নেই। এই সমস্ত চা-টা খাওয়ার কথা বলে লাভ নেই। এবার একটাই কথা, পদত্যাগ করুন; নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। যেন সত্যিকার অর্থে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ, জবাবদিহিতামূলক সংসদ ও সরকার গঠন করা। আজ এত কিছু ঘটছে কেন? কারণ তাদের জবাবদিহিতা নেই। তাদের কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না।’

আরও পড়ুন: ঘেরাও কর্মসূচি দিলে আপত্তি নেই; তাদের বসাব, চা খাওয়াব, কথা শুনব

বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকার ইনডেমনিটি দিয়েছে— উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ইনডেমনিটি। অর্থাৎ এখানে পুরোপুরি যা আনবেন, করবেন তা কোনো টেন্ডার ছাড়াই হবে। সেখানে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। ইনডেমনিটি দিয়ে কীভাবে আশা করতে পারেন যে সেখানে দুর্নীতি হবে না। সেখানে কীভাবে সঠিকভাবে বিদ্যুতের প্রকল্প শুরু হবে।’

রেমিট্যান্স কমে আসছে— উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন। এখনই দেখা শুরু করেছে। যার জন্য এখন অনেক আবোল-তাবোল কথা বলতে শুরু করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি এবং পুরো দেশের মানুষকে আহ্বান করেছি— আসুন এই ভয়াবহ দুর্বৃত্তদের থেকে মুক্তি পেতে হলে এই ডাকাতদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করে ৭১ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।’

এএইচআর/এসএসএইচ