তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন ও রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে যে জোট গঠন করেছে, রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে তার কোনো গুরুত্ব নেই।

মঙ্গলবার মিন্টো রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সোমবার জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এই সাত দলকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ জোট গঠনের ঘোষণা দেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ৭ দলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে। যারা এই জোট গঠন করেছেন, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। এরা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু নয়।

এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এ সময় তিনি বলেন, ২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে দেয়, পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তাসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তাসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামায়াতের গুজবের কারণে আরও অনেককে অসহায়ভাবে মরতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

এমএসি/এসকেডি