চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়ায় স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে উঠছে। হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা। তারা বলছেন, বহিরাগত নিয়ে মানববন্ধন করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করেছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকটসহ  বহুমুখী সংকট নিরসনের দাবিতে এ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন।

আহতদের মধ্যে আছেন- ছাত্র ইউনিয়নের কলেজ শাখার আহ্বায়ক হিমেল চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন দক্ষিণ জেলার সভাপতি সনত বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া পারু, সাবেক ছাত্রনেতা সেহাব উদ্দিন সাইফু, ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিন জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ইয়াছিনসহ ৯ জন। 

কলেজ শাখা ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক হিমেল চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের কলেজে শিক্ষক সংকট আছে, কলেজের বিল্ডিং সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এই নিয়ে আমরা কলেজ অধ্যক্ষকে একটা স্মারকলিপি দিয়েছি। এরপর ক্লাস ছুটির পর ক্যাম্পাসের বাইরে সড়কে মাত্র মানববন্ধন শুরু করেছি। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। তখন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এরপর আমরা যারা ছিলাম তারাই মানববন্ধন শুরু করি। তখনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর লাঠি, পাইপ নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের ৯ জন আহত হয়েছেন।'

তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাউয়ুম, রয়েল দেবনাথ ও শিমুল সর্দারের নেতৃত্বে কয়েকজন বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাদের থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে আমাদের বেধড়ক পেটাতে থাকে।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন তারেক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ছাত্র ইউনিয়নের উপর হামলা করেনি। তারা বহিরাগত নিয়ে মানববন্ধন করছিল। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে। তারা শুধুশুধু আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে। 

তিনি বলেন, তারা মানববন্ধন করছে ঠিক আছে, কিন্তু বহিরাগতদের নিয়ে কেন করতে হবে। তারা মানববন্ধন করার অনুমতি কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকেও নেয়নি। ক্লাস চলাকালীন সময়ে কিসের মানববন্ধন। 

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শুনেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মানববন্ধনে ধাওয়া করেছে। তাদের মানববন্ধনে কয়েকজন বহিরাগত ছিলো। তাই তাদের ধাওয়া দিয়েছি বলে শুনেছি। যেহেতু ধাওয়া করেছে কয়েকজন আহত হতেই পারে। ঘটনার পরে কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

কেএম/জেডএস