নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ওষুধের দোকান খোলা রাখার সময় বেঁধে দিয়ে সরকার জনগণের চিকিৎসার অধিকারও কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তারা জনগণকে সবদিক থেকে জিম্মি করতে চায়।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, মানুষ দিনরাতের কোন সময়ে গুরুতর অসুস্থ হবে, এ কথা কেউ বলতে পারে না। গভীর রাতে অসুস্থ হলে তখনই তার ওষুধের দরকার হতে পারে, অস্ত্রোপচারের জন্য ওষুধসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলেছে, ওষুধ যা কেনার রাত ১২টার আগে কিনে রাখতে হবে। হাসপাতালের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ রাত ২টার আগে কিনে রাখতে হবে। মানুষ কখন অসুস্থ হবে, কখন ওষুধ কিনবে, কখন ওষুধ খাবে— সেই সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই সরকারের। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব তাদের। এই সরকার দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা ধ্বংস করেছে তা করোনা মহামারিতে স্পষ্ট হয়েছে। এক স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতির মাধ্যমেই এই সরকার এবং তাদের মদদপুষ্টরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। আর এখন বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয়ের নামে মানুষের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ কেনার সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতার দায় এখন জনগণের ওপর চাপাচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুন : সরকার নিজের দেউলিয়াত্ব শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে : মান্না

অবিলম্বে এই জনবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জনগণের সব মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকারের হাতে মানুষের জীবন নিরাপদ নয়। এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করেছে। আর তাদের দেউলিয়াত্বের বোঝা জনগণের ওপর চাপাচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

এমএইচএন/এসএসএইচ