বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আল জাজিরায় কুকীর্তি ফাঁস, দুর্নীতির মহাসড়ক নির্মাণ এবং সরকারি হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের মানুষ এই মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যে ধিক্কার জানাচ্ছে, তাতে সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে। সেজন্য তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে বিরোধী দল ও চিন্তার মানুষের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুমের উগ্রগতি চারিদিকে দৃশ্যমান বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশের ওপর সিরিজ আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী। হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিএনপিসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল তথা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। তাদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, হত্যার আসামির দণ্ড মওকুফ হয়। তাদের দ্রুত জামিন হয়। অথচ মানুষ এসবের সমালোচনা করলেই তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। নিপীড়ন আর হুংকারের স্বরে এখন দেশ শাসন চলছে। মুশতাক ফাঁসির আসামি নন, তবুও তাকে কারাগারের মধ্যেই জীবন দিতে হলো।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু খালেক টিপু, বন্দর থানা যুবদল নেতা মাহবুব, রূপনগর থানা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক মো. ফাহিম, সূত্রাপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৌরভ রাসেল, কামরাঙ্গীর চর থানা যুবদলের সদস্য দিলগণি, কাফরুল থানা যুবদল নেতা মো. ওয়াহিদ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, মো. সাগর, ঢাকা জেলার ধামরাই থানা যুবদল নেতা মো. শিপলু, মোশাররফ হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মো. রুবেলসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অবিলম্বে রফিকুল আলম মজনুসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

এএইচআর/এসএসএইচ