বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকের প্রতিবাদ সভা কিসের জন্য? কারণ আমরা আমাদের কথা বলার অধিকার চাই, স্বাধীনতা চাই। আমরা দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।

লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, এতটুকু কথা বলার জন্য আজ এখানে এসেছি। এর জন্য কত অত্যাচার, কত গ্রেফতার। এত ভয় কিসের? কাকে এত ভয়? যাকে ভয় পাবেন তাকে (খালেদা জিয়া) ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে আটকে রেখেছেন। যাকে ভয় পাচ্ছেন, সেই তারেক রহমান এখন প্রবাসে আছেন। যাকে ভয় পাচ্ছেন, সেই জিয়াউর রহমান এখন মরহুম। তবুও আপনাদের এত ভয় কেন? জিয়াউর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশের চেহারা এমন হতো না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকতেন,  তাহলেও দেশের চেহারা এমন থাকতো না। আমাদের বিশ্বাস দেশনায়ক তারেক রহমান যখন দেশে ফিরবেন তখনও দেশের চেহারা এর চাইতে অনেক ভালো থাকবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন এবং খালেদা জিয়া সংবাদপত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে এ বিএনপি। যার ফলে আজ হাজার হাজার সংবাদপত্র।

তিনি বলেন, আজ এ সরকারের আমলে শত শত সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্টকে জেলে যেতে হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেন ভালো কথা, ডিজিটাল আইনটা কিসের? ডিজিটাল আইনে আমাদের জেলে যেতে হবে। আমরা কোনো কথাই বলতে পারব না। এভাবে চলবে না, চলতে পারে না। 

মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা যারা এখানে এসেছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের আরও সাহস সঞ্চয় করতে হবে। এ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা একজন একজন করে লাখ কোটি লোক একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটাব। এসময় তিনি বলেন, যুবদল নেতা মজনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মজনুসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি আমরা চাই না। কারণ আমরা তাদের মুক্ত করে আনব।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

এর আগে শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রেসক্লাবের আশপাশের সড়কে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। বিনা অনুমতিতে কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বাস বা অন্য যানবাহন থেকে কোনো বিএনপির নেতাকর্মী নামলে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশ নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের সামনে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

এমএইচএন/এসএসএইচ