বিএনপি কার্যালয়কে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ (পিও) উল্লেখ করে কর্ডন (বেষ্টনী) করেছে পুলিশ। ভেতরে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট প্রবেশ করার পর কার্যালয় কর্ডন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে আরও নাশকতা চালানোর সরঞ্জাম থাকতে পারে। এ কারণে ফকিরাপুল থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সরানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও। 

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় সিআইডির ক্রাইম সিন টিমের সদস্যরা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) বিস্ফোরণের বিভিন্ন উপাদান ও স্থান চিহ্নিত করেন।

এদিকে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় থেকে দুই জনকে আটকের পর সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বাড়ানো হচ্ছে ফোর্স। থেমে থেমে মিছিল আসার পর থেকে সতর্ক অবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অবস্থা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।

এর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়কে আমরা এখন আইনের ভাষায় বলছি, প্লেস অব অকারেন্স (পিও)। যে কারণে আমরা বিএনপির দলীয় কার্যালয় কর্ডন করে রেখেছি। বিশেষজ্ঞ ছাড়া, ক্রাইম সিনের লোকজন ছাড়া কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যতোক্ষণ পর্যন্ত পুলিশের কাজ শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে কোনো কিছুই হতে দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, আমরা (পুলিশ) গতকাল সতর্কতামূলক অবস্থানে ছিলাম। কাউকে মারধর, হামলা করার উদ্দেশ্য পুলিশের ছিল না। কিন্তু একপর্যায়ে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তা ব্লক করে অবস্থান নেয়, জনসাধারণের চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। 

এর আগে দফায় দফায় কাকরাইল মোড়ে মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো; আমার ভাই জেলে কেনো, শেখ হাসিনা জবাব দে; অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন; লড়াই লড়াই লড়াই চাই-লড়াই করে বাঁচতে চাই- এরকম বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বোমা, চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।

অভিযান চলার সময়ে পল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এমএম/জেডএস