বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভবনের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

সভাপতির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আপনারা জানেন আমরা বাংলাদেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। সেই যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রক্রিয়া হিসেবে আগামী ১৬ তারিখ বাংলাদেশের বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির যে প্রস্তাব করেছে তার প্রতিবাদে বিইআরসি ভবনের সামনে বেলা ১১টায় প্রতিবাদী অনুষ্ঠান হবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের রাষ্ট্র সংস্থার আন্দোলনের আমার চুনারুঘাটের সংগঠক প্রীতম দাসকে মিথ্যা মামলায় গত কয়েক মাস ধরে জেলখানায় রেখে দেওয়া হয়েছে। আমরা আজ গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে প্রীতম দাসসহ সকল বিরোধী দলীয় নেতাদের মুক্তি দাবি করছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকদিন যাবত উদ্বিগ্ন। তিনি গতকাল এই বক্তব্য রেখেছেন, অতি বাম এবং অতি ডানপন্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অতি বামপন্থী কারা আমরা এটা জানি না, তবে এটা জানি দেশের সকল বিরোধী দল একত্র হয়েছে। সকল বিরোধী দল ও জনগণ রাজপথে আসছে। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে সবাই একত্রিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ পেতে পারে জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনী তামাশার পরে, ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির পরে বাস্তবিক এই সরকার সকল বিরোধীদল এবং ১৭ কোটি মানুষকে তারা রাজপথে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে। এজন্য তারা ধন্যবাদ পেতেই পারে। এখানে বিস্ময়ের কিছু নেই।

সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে কোনো ভোটের ব্যবস্থা নেই, তারা নাকি ভোটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক অবস্থা নেই, তারা নাকি দেশে গণতান্ত্রিক সরকার। দেশে কোনো নাগরিক অধিকার নাই, তারা নাকি মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করছে। তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে ভোটের অধিকার নেই। তবে সরকার মাঝেমধ্যে ভোটের নাটক করে। কিছুদিন আগে রংপুর নির্বাচন হলো। যখন গাইবান্ধায় নির্বাচন হলো ওনারা (আওয়ামী লীগ) ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়েছিল। ইভিএম নিয়ে ভোট ডাকাতি করে কীভাবে দেখানো যায় যে ওনারা ভাল ভোট করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধরা পরে গেছে। প্রায় ৪০টির বেশি কেন্দ্রে তারা নিজেরাই ইভিএমে ভোট দিয়ে দিচ্ছে এবং নানাভাবে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোটারদের অসুবিধা সৃষ্টি করছেন। অর্থাৎ দিনের বেলার ভোট ডাকাতির যে রিহার্সাল তারা করতে চেয়েছিলেন তা ধরা পরে গেছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।

/এমএইচএন/ওএফ