ড্যাবের কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির সমালোচনা করার আগে আপনাদের নিজের ঘর সামলান। প্রতিদিন যে মারামারি হচ্ছে তা সামলান। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের লজ্জা হওয়া উচিত। আপনার এলাকা বসুরহাট ও নোয়াখালীতে কী হচ্ছে? পত্রিকায় এসেছে সেখানে একজন সাংবাদিকসহ দুজন খুন হয়েছে। তাদের মধ্যে এক মৃতের ভাই মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার মামলা নেয়নি। কাদের মির্জার বিপক্ষে মামলা নেয়নি। কারণ তিনি তো শুধু কাদের মির্জা নন, তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর মানুষ ওবায়দুল কাদেরের ভাই। কোথায় বিচার, কোথায় ন্যায়ের শাসন?

শনিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য এখন একটাই। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশকে লুট করে নেওয়া। আমরা ছোটবেলায় মায়ের মুখে শুনতাম, খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। সেই বর্গীদের ভূমিকায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্গীরা যেমন বাংলাদেশের কৃষকদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত, ঠিক সেভাবে আজকে তারা সমগ্র বাংলাদেশকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিদেশে বেগমপাড়া, ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় বাড়িঘর তৈরি করছে। লুটের সম্পদ বণ্টন নিয়ে তারা মারামারি করছে।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই। ওবায়দুল কাদের দেখতে অত্যন্ত সুদর্শন মানুষ। চমৎকার কটি পরেন, তার ওপরে নৌকা মার্কার পিন পরেন। সেটা কীসের আমরা জানি না। পত্রপত্রিকায় বের হয়েছে তার ঘড়িগুলোর একেকটির দাম নাকি ৩৬ লাখ, ৫২ লাখ, ১ কোটি করে। আসল দাম কত, আমরা সেটা জানি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের বন্ধু ছিল না। আওয়ামী লীগ পাকিস্তান আমলে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছে। আজকে আমাদের এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত আছেন। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, ভিপি ছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের যে ভূমিকা, আজকে তিনিও সেখানে থাকতে পারেননি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আজ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারাই সব, তারাই মালিক, আমরা সবাই প্রজা। তারা প্রভু আর আমরা সবাই দাস। এভাবেই তারা গোটা বাংলাদেশকে দেখে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফারহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব প্রমুখ।

এএইচআর/আরএইচ/এমএমজে