সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বাকশাল গঠন করে একদলীয় স্বৈরশাসন চালু করা হয়। এটি ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম একটি কালাকানুন চাপিয়ে দেওয়ার ভয়াবহ দিন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‌‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, নির্দলীয়- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

আরও পড়ুন : ৪ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র হত্যা করে প্রেসিডেন্সিয়াল গভর্নমেন্ট চালু করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বিনা ভোটে সারাজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি থাকার আইন পাস করেন। প্রায় ৫ দশক পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দমন-পীড়ন হামলা মামলা খুন, গুমের মতো নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করেছে। কৌশলগত কারণে পিতার মতো একদল ঘোষণা না দিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিরোধী দলের ওপর দমন পীড়ন অব্যাহত রেখেছেন।

দেশের মানুষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ভোট চোর সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেবে না দাবি করে নেতারা বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে, অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।

জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল  হুদার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনডিপি চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে ওলামা ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি