বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশব্যাপী লোডশেডিং হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

সোমবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশে বিদ্যুৎ সংকটের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানান তিনি। 

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল বলে দাবি করছে সরকার। সরকার নাকি বিদ্যুৎ রপ্তানি করে, এখন দেশের জনগণ বিদ্যুৎ পায় না। মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। বিদ্যুতের জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। নতুন করে কোনো কলকারখানা করতে পারছেন না। বিদ্যুতের বিল তো জনগণ ঠিকই দেয়। কিন্তু পায়রাতে (বিদ্যুৎকেন্দ্র) কয়লার যে বিল, সেটি ওনারা শোধ করেন না। কিন্তু হাকিকত হলো দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট চলছে। ফলে সবকিছু মুখ থুবড়ে পড়ছে। 

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যর্থতা, অদূরদর্শিতা ও দুর্নীতির কারণে আজ জনগণকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট সরকারের ভুল নীতি ও ভুল কৌশলের কারণে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষকে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাসের সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এর আশু সমাধান প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাজারের অসহনীয় পরিস্থিতির সঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট মানুষকে সীমাহীন বিপদে ফেলে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি, অপরদিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভয়াবহ সংকট জনগণকে চরম বিপদে ফেলেছে। সরকারের উন্নয়নের কথা এখন ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রেজাউল করীম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পাশাপাশি দেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। কয়লার অভাবে আজ থেকে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আমরা মনে করি দুর্নীতি-লুটপাটের কারণেই এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এই দায় সরকার এড়াতে পারে না। অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান চাই। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতির তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

কেএ