সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একদিকে যেমন অতল রহস্য নিয়ে বেঁচেছিলেন, তেমনি সেই রহস্যের পথ ধরেই রাজনৈতিক আলোর সন্ধান করেছেন যিনি- তিনি সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই।

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে তার মহাপ্রয়াণে শোক জানান এম এ আউয়াল। তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার, স্বজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানান।

বিবৃতিতে এম এ আউয়াল বলেন, সিরাজুল আলম খান বাঙালির সংগ্রামের বাতিঘর। দেশের অনেক রাজনীতিকের দার্শনিক শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি সবসময় বাঙালির মুক্তি ও মননের স্বাধীকারে বিশ্বাস করতেন।

তিনি বলেন, ১৯৬২ সালেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন সিরাজুল আলম খান। এই নিউক্লিয়াসই ছাত্র জনতার আন্দোলন, ৬ দফা ১১ দফা সহ প্রতিটি আন্দোলনকে স্বাধীনতার পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম ত্বরান্বিত করে বলেও উল্লেখ করেন এম এ আউয়াল।

তিনি আরও বলেন, একাত্তরের আগেই সম্ভাব্য সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধকে হিসেবে রেখে, বি এল এফ বা মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়। জয়বাংলা বাহিনী গঠন, জাতীয় পতাকা তৈরি ও উত্তোলন, জাতীয় সংগীত নির্ধারণ, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করে স্বাধীনতার ইশতেহার প্রণয়ন, অসহযোগ আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ এগিয়ে নেন সিরাজুল আলম খান।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ১৯৭২ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন, ৭৫ সালে সিপাহি জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল খান। বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনার নেপথ্য নায়ক তিনি।

এম এ আউয়াল বলেন, আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং তরুণ রাজনীতিকদের এই সংগ্রামীর কাছ থেকে উপলব্ধি গ্রহণের আহ্বান জানাই।

এএইচআর/কেএ