গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জনগণ আগুনে পুড়ে মরতে চায় না। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়তে হলে হয়রানিমুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। লোক দেখানো অভিযান এবং গ্রেপ্তার নাটক বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর হাতিরপুলের আগুন লাগা রাজ কমপ্লেক্স নামের ৬তলা ভবনের সামনে পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সাকি বলেন, সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো একটি কায়েমি শাসন তৈরি করেছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ তাদের জীবনের নিরাপত্তা চায়। তারা এভাবে আগুনে পুড়ে মরতে চায় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্জীবতার কারণে মানুষ যখন দেখেছে নিয়ম-কানুন এড়িয়ে গিয়ে অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে তখন তারা এসব কাজ করেছে। নিয়মকানুন কার্যকর হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ও বেআইনি কার্যক্রমগুলো ঘটবে না।

তিনি বলেন, এসব নিয়ম কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সরকারের কোনো লোক জবাবদিহিতার আওতায় আসে না। সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। মূল গন্ডগোল হচ্ছে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর।

মানুষজনকে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার পরে সরকার তাদের কাঠামোতে হাত দেওয়ার বদলে লোকজনকে হয়রানি করা শুরু করেছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য তো তারা দায়ী নন। কিন্তু তাদেরকেই গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের নাকের ডগায় যখন এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলো তারা তখন কী করেছিল? এতগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে বহাল তবিয়তে এত স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এখন আবার আর্থিক লেনদেন শুরু হয়েছে। এই ভয়ংকর বাস্তবতা বদলাতে হবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার এলাকায় আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরএইচটি/এমএ