খালেদা জিয়া/ ফাইল ছবি

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আছে। দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেই অনুমতি দেওয়ার আইনি সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (১০ মে) দিবাগত রাতে একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আইনি সুযোগ আছে।

ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৪০১ এর আরও ৬টি উপধারা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে কখনও বলা হয়নি খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন, কি পারবেন না। বলা হচ্ছে, ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়ে গেছে, আইন মোতাবেক তা দ্বিতীয় বার রি-ওপেন করা যাবে না। তাই এই আবেদন আর বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

গত বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর লিখিত আবেদন দিয়ে যান তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। রোববার (৯ মে) সকালে আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানো হয়। 

এদিন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। তিনি (খালেদা) আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে প্রিজনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে মানবতার তাগিদে আবেদনের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ৪০১ ধারার ১ উপধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তার বাসায় সুবিধামতো চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। এরমধ্যেই তার ছোট ভাই এসেছিলেন। তিনি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অনুরোধ করেছেন। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে এটি পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে সুবিধাটি দেওয়া হয়েছে, এটা দ্বিতীয়বার মওকুফ করে বিদেশে পাঠানোর কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী আমরা এখন আর তাদের আবেদনটিকে মঞ্জুর করতে পারছি না। আমরা এখন খালেদা জিয়ার পরিবারকে এটিই জানিয়ে দেবো।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর ৮ মে করোনাভাইরাস মুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এসএইচআর/এইচকে