২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থান পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নতুন বাজেট নিয়ে পত্র পত্রিকায় আমরা যেটা দেখলাম, সেখানে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জায়গা সেখানে নেই।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের এক ঘণ্টা আগে ‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসনের অবসান’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, সেই উন্নয়ন কার? সেই উন্নয়ন শুধু যারা এই সরকারের মদদপুষ্ট, প্রশ্রয় পেয়েছে, আশ্রয়ে রয়েছে তাদের। সেখানে সাধারণ মানুষের কোনো স্থান নেই। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আসুন জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করি। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে, নির্ভয়ে কাজ করে বিজয় অর্জন করতে হবে। আজকে উন্নয়ন হচ্ছে তাদের যারা এ দেশকে শাসন করছে। সাধারণ মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে।

গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। ইলিয়াস আলীসহ, হাজারো নেতাকর্মী খুন হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে বিএনপির এই উপলব্ধি আমার ভালো লেগেছে। গণঅভ্যুত্থান ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। সেই গণঅভ্যুত্থান কী রকম করে হবে? আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে আরব বসন্ত, মিয়ানমারের আন্দোলন কিংবা দিল্লীতে যে আন্দোলন ছয় মাস হয়েছে সেটা হতে পারে।

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি/জেএস