হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয় নাই। দেশের লাখ কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কোটি-কোটি ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজ সেই প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বারবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলছি। তাকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে অনুমতি দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছি। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনীর মতো আওয়ামী লীগ তার চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। আজকের এ সভা থেকে বলতে চাই তাকে মুক্তি দিন।

তিনি বলেন, আমার বারবার একটা কথা মনে হয়, দেশ সম্ভবত আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে না। একটা পুতুল সরকার এ দেশে বসা আছে। কারও নির্দেশ মতো কোনো গোষ্ঠী, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো সংস্থা কিংবা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য এই আওয়ামী লীগ নামক পুতুলটিকে টিকিয়ে রেখেছে।

এমন কোনো সংস্থা নেই, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নেই যারা চুরি-ডাকাতি-লুট করেনি দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। পিকে হালদারের মতো বহু বেসরকারি এবং সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশের টাকা লুট করেছে। তারা দেশে অবস্থান করছে আর তাদের সন্তান-সন্ততিরা বিদেশে অবস্থান করছে। এদের বিচার হবে। এত খুন, গুমের বিচার হবে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে, লুটপাটকারীদের বিচার হবে। এই বিচারের ভয় আজ একটা গোষ্ঠী এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।

বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়কে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, তার ছোট মেয়ে মা থেকে বিচ্ছিন্ন, যা অমানবিক। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিন। মাকে সন্তানের কাছে যেতে দিন।

দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখেও সরকার বিএনপি ভাঙতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি দুর্বলও হয়নি। কাজেই নিপুণের মতো নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রেখে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে- এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

এএইচআর/এসএসএইচ