হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার সুযোগ ও মুক্তি দিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে, যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে, সেই নেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়া হোক। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে বালু নদীর ঘাট সংলগ্ন বিএনপির এক নেতার বাড়িতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে একটি নিম গাছের চারা রোপণ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখন তিনি কোভিডের আক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখায় কোনো চিকিৎসা হয়নি। তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা হয়েছে। সঙ্গে তার আর্থাইটিস তো আছেই। সবগুলো মিলিয়ে তিনি অনেক অসুস্থ আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে তার পরিবারের আবেদনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করছে। খালেদা জিয়া অসুস্থ।

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে খালেদা জিয়া অত্যন্ত প্রিয় মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন গৃহবধূ ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনে, যখন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা দরকার, যখন এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিল তখন তিনি রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। ৯ বছর তিনি আন্দোলন করেছেন, কারাগারে গেছেন। মানুষকে প্রলুব্ধ করে একটা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদকে পরাজিত করেছেন। এরপর গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ১/১১ এর সময় কারাগারে গেছেন। সেখানেও তিনি নীরব সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের সরিয়ে দিয়ে একটা নির্বাচন দিতে বাধ্য করেছিলেন। এরপর এই সরকার, দেখুন তারা কত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দল- যে মামলায় খালেদা জিয়ার কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই সেই মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

এএইচআর/এসএসএইচ