সরকারি দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রায় বেকার করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম জোটের নেতারা। তারা বলেন, বিরোধী রাজনীতিকে সরকার শোকেসে তুলে রাখার ব্যবস্থা করেছে।

শুক্রবার (১৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। ‘বিদ্যমান সংকট ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ওয়ার্কার্স পার্টি।

সভায় রাজনৈতিক নেতারা বলেন, রাষ্ট্র-রাজনীতিতে দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের প্রভাব যত বাড়ছে, রাষ্ট্র ততই সহিংস ও গণবিচ্ছিন্ন হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক ধারার জবাবদিহিমূলক রাজনীতিকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে। ভোটাধিকারসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তির বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এক গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধ্যা সময় পার করছে। ক্ষমতাসীন লুটেরা শাসকগোষ্ঠী তাদের জনসম্মতিবিহীন অনৈতিক ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে দেশের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিরোধী রাজনীতিকে শোকেসে তুলে রাখার ব্যবস্থা করেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একেবারে ন্যূনতম ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোকে রাজপথে শক্তিশালী ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মারধর এক ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা হত্যা, গুম, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদকে রুখতে হবে, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এই সরকারের শাসন-শোষণে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষসহ দেশের জনগণ আজ নিপীড়িত-নিষ্পেষিত। মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বিদ্যমান দুঃশাসনকে বিদায় দেওয়া যাবে না, জনগণের অধিকারও কায়েম করা যাবে না।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দি, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুর নূর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ইফতেখার আহমেদ বাবু, হামিদুল হক।

এএইচআর/এসএসএইচ