উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এই ইতিবাচক ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি এবং তাদের দোসররা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার (১৯ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক ভার্চুয়ালি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এমন অভিযোগ করেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১২ বছর আগের পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। ১২ বছর আগের বাংলাদেশ ও আজকের বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। 

তিনি বলেন, এই মহামারি করোনাকালেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে দুইশ মিলিয়ন ডলার এবং সুদানকে ৭.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের অবস্থান আজ কোথায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আজ ২২২৭ ডলার, যা কল্পনাও করা যায় না। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের এই বিশাল উন্নয়ন-অর্জনই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বিএনপি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সুফল জনগণ পেতে শুরু করছে। বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তাদের লক্ষ্য অস্থিতিশীলতা তৈরি করে দেশের ইমেজ নষ্ট করা এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার বুঝতে পেরে বিএনপি দেশের আলোকিত অভিযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। 

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশ-বিদেশে বিএনপি অর্থ বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, জনগণের প্রতিরোধের মুখে যেকোনো ষড়যন্ত্র ভেস্তে যেতে বাধ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, এর সঙ্গে পরাজয়ের কোনো গ্লানি নেই তেমনি কারো বিজয়েরও উল্লাস নেই। যারা নেতা নির্বাচিত হবেন তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা শেখানোর সততা ও কর্মনিষ্ঠা চর্চার।

আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আগের মতো জনবান্ধব ও গণমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব কর্মীকে প্রকৃত সমাজকর্মী ও দেশকর্মী হিসেবে বিকশিত হতে হবে।

রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালপুর রহমান বাবুসহ অন্যান্য নেতারা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন। 

এইউএ/জেডএস