যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে আগামী কমিটিতে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

সোমবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় শেষে  সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডের তৃণমূল ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দুই দিন ধরে এ মতবিনিময় সভা চলে। সোমবার সভা শেষ হয়েছে। 

হানিফ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে জুনের শেষ পর্যায়ে ও জুলাইয়ে করোনার প্রকোপ মাথায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি করা হবে। আগস্ট শোকের মাস। মাসব্যাপী শোক পালন করা হবে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসের মধ্যে আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ইউনিট পর্যায়ের সম্মেলন করে ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করতে চাই। নভেম্বর মাসে থানা পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করতে চাই। ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষ হওয়ার পরে সব প্রস্তুতি শেষ হলে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তারিখ নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরে সম্মেলন করব। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ শুরু করেছি। 

হানিফ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনীত প্রার্থী উপেক্ষা করে যারা নির্বাচন করেছে তাদের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাদেরকে কোনো পদে রাখা যাবে না। মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে যখন কমিটি হবে তখন এই বিষয়টিকে মাথায় রাখবেন।   

দলে নতুন কারও যোগদানের প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। দলের প্রচুর সমর্থন আছে। এদেশে লাখ লাখ কোটি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের আছে। সে হিসেবে দলে যোগদান করানোর খুব বেশি প্রয়োজন নেই। তারপরও যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থাশীল হয়ে, শেখ হাসিনার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারা যদি উন্নয়নের ধারায় সামিল হতে চায়, তাহলে ঐ ব্যক্তির  বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে যোগদান করানো যেতে পারে। একজনের ইচ্ছে হলো কাউকে এনে যোগদান করালাম সে সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সম্মেলন করার সময় আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, আমাদের যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠন করে, যাদের বয়স এরইমধ্যে ৪০-৫০ পার হয়ে গেছে, তাদেরকে আমাদের দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্বে আনতে পারি। এছাড়া  বয়স্ক নেতা নেত্রীদের একটু উপরের দিকে দায়িত্ব দিতে পারি। কারণ আমাদের দরকার নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা, বেগবান করা।

সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/জেডএস