কারও চোখ বেয়ে ঝরছে অশ্রু, আবার কারও কাঁপছে ঠোঁট। দুই হাত তুলে মোনাজাতে অনবরত কাঁদতে থাকেন নারীরা। তাদের নিঃশব্দ কান্না আর দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় এভাবেই কেঁদেছেন নারী নেত্রী ও কর্মী-সমর্থকরা।

এমন দৃশ্য দেখা মেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আর দশদিনের মতো ছিল না এ এলাকার পরিবেশ।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে নেতাকর্মীদের শোক আর কান্নায় এক আবেগঘন পরিবেশে পরিণত হয় বিএনপির এই রাজনৈতিক কার্যালয়। মহিলা দলের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ঠিক উল্টো পাশে সারিবদ্ধ হয়ে বসেন নারী নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফেরাত মোনাজাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন তারা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। এ সময় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ করে বেশিরভাগ নারীকেই দোয়া পড়তে শোনা যায়।

মোনাজাতে অংশ নেন গুলশান থানা মহিলা দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহফুজা রেজা ও একই শাখার সদস্য সচিব খালেদা ফারুকী। 

মাহফুজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের কাছে শুধু দলীয় নেত্রীই নন, তিনি ছিলেন মায়ের মতো। তার সাহস, ত্যাগ আর সংগ্রাম আমাদের রাজনীতিতে পথ দেখিয়েছে। আজ তাকে হারিয়ে আমরা অভিভাবকহীন।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের মা ডাকা হতো। কারণ তিনি ছিলেন আপসহীন। বিএনপির চেয়ারপারসনের এই রাজনৈতিক কার্যালয় ঘিরেও আমাদের বহু স্মৃতি রয়েছে। যা বলে শেষ করা যাবে না। সবমিলিয়ে তাকে হারানোর ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। এ সময় তার চোখ বেয়ে জল পড়তে দেখা যায়।

এমআরআর/বিআরইউ