ফাইল ছবি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দেশের বাইরেও আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রজতজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বহির্বিশ্বে জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা প্রতিনিধি রয়েছেন, দলের যেসব শাখা রয়েছে তাদের নিয়ে আমরা আঞ্চলিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোম্যেধ্য মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপে ও যুক্তরাজ্যে এ আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয়েছে।’

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

মোশাররফ বলেন, আরও অন্যান্য আঞ্চলিক কমিটির তালিকা আমরা পাচ্ছি, সেগুলো গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ১৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি, ৭ সদস্যের স্ট্যায়ারিং কমিটি, ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে বিএনপি।

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল, এ দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধারা এ দলে আছেন, যারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন। এজন্য বিএনপি অত্যন্ত ভালোভাবে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে চায়। আমরা যে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে কি-না, এটা অবশ্যই ৫০ বছরে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পার হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, গত ৫০ বছর ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা চলছে। আমরা যারা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধে সহযোগিতা করে এখনো বেঁচে আছি, আমাদেরই দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। সেজন্য আমাদের সারাবছরই মানুষকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।

এর আগে সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা বই ও ছবি প্রদর্শনীর কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস থেকে বিএনপি সুবর্ণজয়ন্তী কর্মসূচি শুরু করবে বলে ঢাকা পোস্টকে একান্ত আলাপে জানিয়েছিলেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেছিলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে গিয়ে বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী কর্মসূচি শেষ হবে।

সম্মাননা কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা দলের হাজী হোসেন আহমেদ, একেএম কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম খান, মহসিন সরকার, নুরুল আলম মিয়া, নান্নু মিয়া, খন্দকার তৌহিদুর রহমান, শরীফ হোসেন, আবু ছাহলে, এমএম মোস্তফা কামাল, আখতার হোসেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের রিয়াজ উদ্দিন নসু ও মিডিয়া উইংয়ের শায়রুল কবির খানসহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/এমএইচএস