ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেবে বিএনপি
বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কমিটির সভা
বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে দলের পক্ষ থেকে তাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। যাতে অন্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনোরকম তফাৎ না থাকে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের ১২ টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। সভা শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতারা গুলশান কার্যালয়ের জিয়াউর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞাপন
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমান বিশ্ব দরবারে দেশের সব নাগরিকদের জাতি, ধর্ম, গোষ্ঠীর জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন। আর তা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। তার ভিত্তিতেই আমাদের রাজনৈতিক দর্শন।
এর আগে সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা বই ও ছবি প্রর্দশনীর কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস থেকে বিএনপি সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি শুরু করবে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন খন্দকার মোশাররফ।
সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুকোমল বড়ুয়া, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কমিটি আহবায়ক কর্ণেল (অব.) মনিষ দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মারমা সম্প্রদায়ের নেতা লুশৈপ্র, খুমি সম্প্রদায়ের লুঙা খুমি, গারো সম্প্রদায়ের বাশধর দ্রুং, পাংখোয়া সম্প্রদায়ের লাল কিলময়, স্নো সম্প্রদায়ের লামলাই, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নসরাং ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ সম্প্রদায়ের হরিশ্চন্দ্র তঞ্চঙ্গা প্রমুখ।
এএইচআর/এসআরএস