পরবর্তী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে যেকোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ওবায়দুল কাদের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন। 

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি (শনিবার) বেলা ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিদ্রোহী ও তাদের মদদদাতাদেরও কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা, চাকরির নিরাপত্তা এবং শ্রমিক কল্যাণ ও ট্টেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে নেওয়া হয়েছে কার্যকরী উদ্যোগ।

তিনি বলেন, দেশে ৪৩টি শিল্প সেক্টরের মধ্যে ৪০টি সেক্টরে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি শতভাগ বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। কৃষিকে শিল্পে রূপান্তরের পাশাপাশি সরকার কৃষিকাজে নিয়োজিতদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

কাদের বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছিল তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে, সরকার নাকি করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিল লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আল্লাহর রহমতে এখনো তা হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের আক্ষেপ। এজন্য তারা মনযন্ত্রণায় ভুগছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিনরাত সেবা দিয়েছে, তখন বিএনপি উটপাখীর মতো বালুতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিল। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে সরকার ব্যর্থ। বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেকোনো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি। 

তিনি বলেন, সরকার ও দেশের সফলতা এবং অর্জন বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরায়। তাদের আমলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করে না। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার অভিঘাত যেভাবে সরকার সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে এবং করোনার টিকা সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও টিকা দেওয়ার কাজও স্বচ্ছতা, সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করবে শেখ হাসিনা সরকার ইনশাআল্লাহ। 

তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে বসে বসে মিথ্যাচার করা। মিথ্যাচার আর অন্ধ সমালোচনা ছাড়া তাদের অন্য কোনো সক্ষমতা নেই।

ধানমন্ডিতে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক ও সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজসহ উপকমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

এইউএ/জেডএস