জাতীয় তরুণ পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রথম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

সরকারি দলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, এ অশনি সংকেত ভালো নয়। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে বিরোধী দলের আর কিছুই বলতে হচ্ছে না, তারাই নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ্যে তুলে ধরছেন।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় জাতীয় তরুণ পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রথম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন দল নিজেদের স্বার্থ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে, জনগণের স্বার্থ নিয়ে তাদের ভাবনার সময় নেই।

সরকারি দলের এক সংসদ সদস্য তাদের এক শীর্ষ নেতাকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলেছেন উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, এক শীর্ষ নেতার পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সরকার দলের এ বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরও বলেন, নির্বাচনে সন্ত্রাস হচ্ছে, প্রার্থী খুন হচ্ছে। এমন নির্বাচন আমরা চাইনা। আমরা চাই মানুষ যেনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের এক শীর্ষ নেতার ভাই বলেছেন- সরকার ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।

দেশে টিকা এসেছে এটা আনন্দের খবর উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, কিন্তু টিকা নিয়ে সরকারের কোনো রোডম্যাপ নেই, কোনো নীতিমালা নেই। দেশের মানুষ জানতে চায় কারা প্রথম টিকা পাবে, কিভাবে দেশের মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

বাবলু বলেন, পদ্মা ব্রিজ আর ফ্লাইওভারের আগে সুশাসন চায় মানুষ। সুশাসন নিশ্চিত না হলে, ওই ব্রিজ দিয়ে ১০টি হোন্ডায় ২০টি গুণ্ডা দ্রুত সময়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ৯০ সালের পর দুটি দল পরিকল্পিতভাবে তরুণ সমাজের মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারি দলের ছত্রছায়ায় তরুণদের ক্যাসিনো, জুয়া ও মদের ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল তরুণরা। কিন্তু তাদের কথা কেউ ভাবেনি। এখন অনেককেই আটক করা হয়েছে, কিন্তু বছর ঘুরলেও তাদের বিচার হচ্ছে না।

দ্রুত সময়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, মহামারির কারণে সারাবিশ্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করতে হবে সরকারকে। অটোপাশের কারণে শিশুরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তরুণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মৃধা, তরুণ পার্টির মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কে. এম. সুজন প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস