সরকার একতরফাভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে যদি প্রশাসন ও জনতার মধ্যে গণবিদ্রোহ ঘটে তাহলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য আয়োজিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন থেকে এ কথা বলেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন অর রশিদ খান।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি সারা দেশের কৃষক সমাজকে ব্যাপকভাবে ভোগাবে। এছাড়া জনসাধারণ যারা আছে, তারাও বিপদে পড়বেন। সবার আয় আগের মতই আছে, শুধু সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। টিসিবির ট্রাক দেখলে বুঝা যায় কি পরিমাণ মানুষ দরিদ্র এবং একটু কম দামে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য তারা কতটা যুদ্ধ করে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে পরিবহন খাতের ব্যয় বাড়বে। যার ফলে কৃষকের সার থেকে শুরু করে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। পণ্য উৎপাদনে আরও খরচ বাড়বে। যা একজন সাধারণ কৃষকের পক্ষে বহন করা অনেকটাই অসম্ভব। আমরা এ সরকারকে দ্রুত জ্বালানি তেল ও সব জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছি।

সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলমান সরকার ও বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক ইতিহাস চর্চা নিয়ে ব্যস্ত আছে। জনগণের জীবনযাপন কীভাবে পরিচালিত হবে তা ভাবছে না। এ থেকেই বুঝা যায় জনগণের বিপদ আসন্ন হওয়া সত্ত্বেও তারা ক্ষমতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ঝগড়া-ফ্যাসাদে নিমজ্জিত আছে। এখনই তাদের জনতার দিকে নজর দিয়ে গণমানুষের পক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, সরকার দলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সমর্থিত মালিক সমিতি জনগণের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় খেলায় মেতে উঠেছে। রাজপথে আন্দোলন করার পরিবর্তে জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের ষড়যন্ত্র করছে।

মানববন্ধনে দলটি অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/আইএসএইচ