তেল-গ্যাসের বর্ধিত দাম ও গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অন্য দুটি দাবি হলো- নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য মাসিক ভিত্তিতে স্বল্পমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।

সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আর সংঘাত বাড়াবেন না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আপনার বাপ, দাদা, মামা-খালুর সম্পত্তি না। এটা জনগণের দাবি। যতই অজুহাত দেখান, জনগণ যদি রাস্তায় নামে তাহলে আপনারা অবশ্যই দিতে বাধ্য হবেন।

নুর বলেন, এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এটি সরকার পতনের আন্দোলন না। জনগণের দাবি নিয়ে জনগণের দল গণঅধিকার পরিষদ রাস্তায় নেমেছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় এ তিন দফা দাবির জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বানও জানান নুর।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে সর্বস্তরের ঘৃণিত একটা দল আওয়ামী লীগ। এ দলটা এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে। আমি মনে করি সামনে যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় জনগণের রাগের ছোটে আপনারা দেখবেন যে এ দলটা একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামে যে একটা দল আছে, সেটা আপনারা সবাই ভুলে যাবেন। এ অত্যাচারী, অসৎ ও অবৈধ সরকারকে আমরা ইতিহাসের আবর্জনার স্তূপে সরিয়ে ফেলতে পারব।

বড় সংগ্রামের জন্য সবাইকে তৈরি থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকুন। সামনে আমরা বড় ধরনের একটা সংগ্রামে নামছি। এ সংগ্রামটা দীর্ঘদিনের হবে এবং আওয়ামী লীগ এটা ঠেকানোর চেষ্টা করবে। তারা পুলিশ বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীকে অপব্যবহার করছে। একদিন এ প্রশাসনও বুঝবে আমরা আসছি জনগণের জন্য। দেশে সরকার আছে যারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। সব বাহিনীকে বলব আপনারা সিদ্ধান্ত নেন, আপনারা লুটেরাদের পক্ষে নাকি জনগণের পক্ষে। আশা করি আপনারা সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, আবু হানিফ, যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদ খান, আবদুর জাহের, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন প্রমুখ।

এইচআর/এসএসএইচ