‘জিয়া, এরশাদ ও খালেদা দেশকে উল্টো পথে চালিয়েছে’
সন্দ্বীপে নবনির্মিত জেটি উদ্বোধন করেননৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
জিয়া, এরশাদ ও খালেদা সরকার ২১ বছর দেশকে উল্টো পথে চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান জেটি’ উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সাবেক তিন সরকার জিয়া, এরশাদ ও খালেদা ২১ বছর দেশকে উল্টো পথে চালিয়েছে। দেশের উন্নয়নে তাদের কোনো স্বপ্ন ছিল না। গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সঠিকপথে পরিচালিত করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে দেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মনে করে দিন বদলে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্ন দেখান না তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তার নেতৃত্বে আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ‘রোল মডেল’। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন আর পজিটিভ চিন্তায় আগামী আট বছরে শুধু রোল মডেল নয়, বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত মানবিক বাংলাদেশ।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়ন হলে সন্দ্বীপে বিদেশি বিনিয়োগ হবে। এই এলাকার খাল খনন ও ইকোপার্ক নির্মাণসহ যেসকল দাবি স্থানীয় জনগণ করছেন, তা বাস্তবায়ন হবে। এখানে ইকোপার্ক হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরাও আসবেন।’
জেটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার দাদা এখানে ডুবে মারা গেছেন। আমার ফুফু মারা গেছেন। আমি নিজেও এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি।’
সন্দীপের বাসিন্দা কানু মিয়া বলেন, ‘আগের জেটি ভেঙে গেছে। ওখান দিয়ে হাঁটাহাঁটিও করা যায় না। অর্ধেক গিয়ে আবার এই কাদার মধ্যে হাঁটতে হয়।’
সন্দীপের আরেক বাসিন্দা মোসলেম বলেন, ‘জেটি না থাকায় ভালো লঞ্চ নেই। আর ট্রলার ডুবে ডুবে প্রতি বছর মানুষ মরে।’
সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াত এবং তাদের মালামাল ওঠানামার সুবিধার্থে এখানকার ল্যান্ডিং স্টেশনে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পাকা কংক্রিটের (আরসিসি) জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। জেটির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে পার্কিং ইয়ার্ড, যাত্রীছাউনী, লাইটিং সিস্টেম, রেলিং ও বাউন্ডারি ওয়াল।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণে ৫২ কেটি ৬৪ টাকা প্রাক্কলন করা হলেও এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফলে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা।
জেটি উদ্বোধনকালে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মিশন এবং পৌর মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম।
এইউএ/এফআর