দলে কোনো মতানৈক্য নেই: গণফোরাম
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামে কোনো মতানৈক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, সব ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল থেকে দলকে সংগঠিত করতে হবে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আরামবাগের গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। গণফোরামের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মন্টু বলেন, দেশব্যাপী চলমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকট মোকাবেলায় আসুন কার্যকর গণতন্ত্র ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। নবজাগরণের মধ্য দিয়ে গণফোরামের পতাকাতলে সংগঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে সব নেতাকর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন মন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী ও গণফোরাম নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, দেশে চলমান লোটপাটের বিরুদ্ধে, পরিবারতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এখন ধান ও পেঁয়াজের মৌসুম। কিন্তু সরকার পেঁয়াজ আমদানির আদেশ দিয়েছে। এগুলো কৃষি ও কৃষকের বিরুদ্ধে একটি কৌশলী চক্রান্ত।
গণফোরাম ভেঙে দেওয়া কমিটির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই অগণতান্ত্রিক ও অনিশ্চয়তায় ঘেরা রাষ্ট্রের জন্য কি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম? আজ স্বাধীনতার সব মূলনীতি ভূলণ্ঠিত। জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
জনগণের জানমালের কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে দাবি করে সুব্রত চৌধুরী বলেন, মানুষ সুবিচার থেকে বঞ্চিত। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব সহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, আইয়ুব খান ফারুক, খান সিদ্দিকুর রহমান, লতিফুল বারী হামিম, রওশন ইয়াজদানী প্রমুখ।
এএইচআর/ওএফ