বার্লিনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
জার্মানির বার্লিনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। শনিবার (২৬ মার্চ) এ উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভায় যোগ দেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদশিদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত সবাইকে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জাতীয় দিবসের আলোচনা শুরু হয়, যেখানে দূতাবাসের সদস্য, জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা এবং জার্মানিতে অবস্থানরত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচনার শুরুতেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পাঠানো জাতীয় নেতাদের বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতার আদর্শিক, রাজনৈতিক ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তির সংগ্রাম, অর্জিত স্বাধীনতা ও জাতীয় ত্যাগ এবং বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিষয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারী আলোচকরা বিভিন্ন আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপুর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্বদেশ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী তার বক্তব্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ও রাজনৈতিক অবদান তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি তার বক্তব্যের মাধ্যমে গত ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং বর্তমান সরকারের নেওয়া বিবিধ উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ কীভাবে আজ ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করেন।
তিনি আলোচনায় আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তার কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতি, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
পরে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য, শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতাদের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। শেষে দূতাবাসের আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এসএসএইচ