মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো

মালয়েশিয়ায় বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার আগে অনিবন্ধিত বিদেশিদের সাধারণ ক্ষমার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির ক্লাং এলাকার সংসদ সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো। অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে টিকাদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) চার্লস সান্টিয়াগো জানান, মালয়েশিয়ায় প্রায় ৩০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসী রয়েছেন। অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে টিকাদানের আগে অভিবাসন নীতির আলোকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অনুরোধ জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) করোনা নির্মূলে মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত বিদেশি নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এ ঘোষণার আলোকে চার্লস সান্টিয়াগো স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, টিকাদান কর্মসূচী শুরুর আগে অনিবন্ধিত বিদেশিদের সাধারণ ক্ষমা দিতে হবে।

আটক অবৈধ অভিবাসী

কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, চলমান মহামারি শুরুর প্রথম দিকে বলা হয়েছিল বৈধ-অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সে সময় তাদের কোনো পুলিশি হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না। এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও অবৈধ অভিবাসীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিবাসীদের প্রতি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।.

এদিকে সিনিয়র সুরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব গত বছরের মার্চে কুয়ালালামপুরের শ্রি পেটালিং মসজিদের এক তাবলিগ সমাবেশে অংশ নেওয়া অনিবন্ধিত অভিবাসীদের করোনা পরীক্ষার জন্য উত্সাহিত করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। এরপর মে মাসে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের উপর একের পর এক বড় ধরনের অভিযান চালানোর খবর বের হয়েছিল।

টেনাগানিটার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরিন দাস বলছিলেন, ওই সময় অনেক অনিবন্ধিত ব্যক্তি বিশেষত- শরণার্থী, আশ্রয় প্রার্থী ও যারা তাদের আইনিকরণের বিষয়ে অভিবাসন বিভাগের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা গত মার্চ মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা, ট্রেসিং ও চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন।

পরে মে মাসে অভিযান শুরু হলে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। যদি এরকম কঠোর পদক্ষেপ আবার শুরু হয়, তবে দেশটির জনগণ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন টেনাগানিটার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরিন দাস।

বৈধ অবৈধ বিদেশিদের বিনামূল্যে টিকাদানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে গ্লোরিন দাস বলেন, বিদেশিদের প্রতি বৈষম্যের নীতিগুলো বাদ দিলেই অনিবন্ধিতরা টিকা দিতে এগিয়ে আসবে। সরকারের এ পরিকল্পনায় সফলতা আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

ওএফ